আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বুধবার, ০১ মে ২০২৪ | প্রিন্ট | 23 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলার মুখে প্রতিদিনই নারী-শিশুসহ বেসামরিক মানুষের মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে। গত ৭ অক্টোবর থেকে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা সাড়ে ৩৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আহত হয়েছেন ৭৭ হাজার জনের বেশি। হতাহতের অধিকাংশই নারী ও শিশু। গতকাল সালেম আবু তয়র নামে আরেক সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের বিমান হামলায় তিনি নিহত হন।
পুরো উপত্যকার ৮৫ শতাংশ বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ক্ষুধা ও বিনা চিকিৎসায় প্রতিনিয়ত মারা যাচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা। এ অবস্থায় আবারও একটি যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনায় বসেছিল ইসরায়েল ও হামাস। মিসরের কায়রোতে ওই আলোচনা কোনো ফলপ্রসূ পরিণতির দিকে না এগিয়েই শেষ হয়েছে। হামাসের প্রতিনিধিরা কায়রো ছেড়েছেন।
এ অবস্থায় গাজায় গণহত্যা নিয়ে ইসরায়েলের ওপর চাপ বাড়ছে। বার্তা সংস্থা এপি লিখেছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বা আইসিসির সম্ভাব্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে উদ্বিগ্ন ইসরায়েলের কর্মকর্তারা। এ আদালত পরোয়ানা জারি করলে সদস্য দেশগুলোতে গ্রেপ্তারের শিকার হতে পারেন নেতানিয়াহুসহ ইসরায়েলের কর্মকর্তারা। এ নিয়ে ইতোমধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেতানিয়াহু। সামাজিক মাধ্যম এক্সে তিনি বলেন, তারা আইসিসির কোনো পদক্ষেপ মানবেন না।
এদিকে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক বিচার আদালত বা আইসিজে জার্মানির বিরুদ্ধে আনা নিকারাগুয়ার অভিযোগ নিয়ে রুল জারির কথা রয়েছে। ইসরায়েল অস্ত্র সহায়তা দিয়ে জার্মানি ১৯৪৮ সালের গণহত্যা নীতিমালার লঙ্ঘন করেছে– এমন অভিযোগ মামলাটি করে নিকারাগুয়া। স্থানীয় সময় বিকেল ৩টায় শুনানি শুরুর কথা রয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে আইসিজেতে কাজ করা অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত বিচারক হিলারি চার্লিসওয়ার্থ বলেছেন, ইসরায়েলের উচিত গাজায় তাদের হামলা বন্ধ করা, যাতে সেখানে নির্বিঘ্নে ত্রাণ সরবরাহ সম্ভব হয়।
দ্য গার্ডিয়ান অনলাইন জানায়, হামাসের সঙ্গে কোনো চুক্তি হোক বা না হোক, দক্ষিণ গাজায় রাফায় অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। রাফায় অভিযান নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইসরায়েলের পশ্চিমা মিত্ররা। তারা সেখানে বড় ধরনের বেসামরিক প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মানবাধিকার লঙ্ঘনে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর পাঁচটি ইউনিটের জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে। তবে তার পরও তারা তাদের সহায়তা দেওয়া অব্যাহত রাখবে। এসব মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা গাজার বাইরে ঘটেছে।
Posted ১২:৩৫ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০১ মে ২০২৪
nykagoj.com | Stuff Reporter